বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসা মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট করেছে সরকার। এই পদে তাকে নিয়োগের খবরটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন। আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) কমান্ড্যান্ট পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। মামুন খালেদ এ মাসের শুরুতেই পিআরএলে গেছেন। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকেই আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের পদোন্নতি কার্যকর হবে।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন পাওয়া এ সেনা কর্মকর্তা চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) উপাচার্যের দায়িত্ব পান। তার আগে যশোরে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং ঢাকার এরিয়া কমান্ডার (লজিস্টিকস) হিসেবে তিনি দায়িত্বপালন করেন। রামু সেনানিবাসের দশম পদাতিক ডিভিশনের প্রথম জিওসি হিসেবে দায়িত্বপালন করা এ জেনারেল সেনা সদরদপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড হেডকোয়ার্টারের কম্বাইন্ড প্ল্যানিং গ্রুপ এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সেও কাজ করেছেন।

ইরাকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে তিনি দায়িত্বপালন করেছেন একজন সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার হিসেবে। ১৯৬৬ সালে জন্মগ্রহণ করা সারওয়ার হাসানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও ঢাকা কলেজের লেখাপড়া শেষ করে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। বাংলাদেশের ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের গ্র্যাজুয়েট সারওয়ার হাসান ব্রাজিলের স্টাফ কলেজে পড়তে গিয়ে পরে পর্তুগিজ ভাষাও শিখেছেন।

নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে তিনটি মাস্টার্স করা এ সেনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিকিউরিটি স্টাডিজে পিএইচডি করেছেন। মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসানের স্ত্রী ফারজানা হাসান শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তারা দুই ছেলের জনক-জননী।