ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী হত্যা মামলায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গুলজার হোসেন, আসিফ, শিহাব আহম্মেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন।

রায়ে নিহতকে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের আরও সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। অন্যদিকে রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি সম্পাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী। পরদিন ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরীকে হত্যা করে এবং মৃতদেহ গোপন করার উদ্দেশ্যে লাশ পুড়িয়ে ফেলে রাখে। পরে তার সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে লাশ শনাক্ত করেন নিহতের ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।