ঝালকাঠির রাজাপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে তিন বছর পূর্বে জালিয়াতি করে রেজিষ্ট্রি ও বসত বাড়ি দখলের অভিযোগে দলিল লেখক কাওসার সহ দাতা, গ্রহিতা ও এক স্বাক্ষীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঝালকাঠি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপজেলার কেওতা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জুয়েলের করা সিআর ৪৮/২০২০ নং মামলায় সিআইডি পুলিশের প্রতিবেদন দাখিলের পরে ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে চারজনকে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেন। এরা হলেন রাজাপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মো: কাওসার হোসেন মোল্লা, দাতা উপজেলার কানুনিয়া গ্রামের জয়নাল খান, গ্রহিতা কেওতা গ্রামের মো: রফিকুল ইসলাম ফকির ও দলিল লেখকের সহকারি ও জালিয়াতি দলিলের স্বাক্ষী হুমায়ুন কবির সবুজ। জালিয়াতি মামলা পেনাল কোর্ড-৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান নামে অপর এক আসামী পলাতক রয়েছেন।

রাজাপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রি হওয়া ২৪৯২ নং দলিলে উপজেলার কেওতা মৌজার এসএ ১৩৪, বিএস ১১৪৭ খতিয়ানের ৪২৮ দাগের ১৩ শতাংশ সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে বসতবাড়ী দখলের সিআর ৪৮/২০২০ নং মামলায় তদন্ত কারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মং চেনলা গত মাসের ৯ তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করেন। দাখিলকৃত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন জাল জালিয়াতি, ভুয়া, বানোয়াট, রেকর্ড সৃষ্টি করিয়া সাব-রেজিষ্টার রাজাপুর এর নিকট ভুল তথ্য উপস্থাপন করিয়া প্রতারনার মাধ্যমে আসামীরা দলিল সৃষ্টি করিয়াছেন।

অপরদিকে জাল জালিয়াতি, ভুয়া, বানোয়াট, রেকর্ড সৃষ্টি করিয়া রেজিষ্ট্রি করা দলিল হালাল করিবার জন্য গ্রহিতা রফিক ইতিপূর্বে বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, ঝালকাঠি ৪০৫/২০১৭ মামলা দাখিল করিলে তৎকালীন বিজ্ঞ বিচারক মো: সিহাবুল ইসলাম মামলার সামগ্রীক সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করিয়া মামলাটি খারিজ করেন।

উল্লেখ্য জাল দলিলের গ্রহিতা ও বসতবাড়ী দখলদার আসামী রফিকুল ইসলামের মা কে মামলার বাদী কেওতা গ্রামের সাইফুল ইসলাম জুয়েল তার নিজ বসতবাড়িতে ২০১৪ সালে বৃদ্ধা দাদীকে দেখাশোনা করার জন্য মাসিক চুক্তিতে দাদীর সাথে বসবাসের জন্য আনেন। এর পরে আসামী রফিক ঐ সম্পত্বির অপর এক ওয়ারিশের নিকট থেকে ক্রয় করা ৫ শতাংশ জমিতে পরিবার সহ বসবাস করতে শুরু করে। মামলার বাদী জুয়েল পরিবার সহ ব্যবসায়ীক কারনে বরিশালে বসবাস করার সুয়োগ নিয়ে আসামী রফিক জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জুয়েলের দাদীর বসত বাড়ির ১৩ শতাংশ জমি রেজিষ্টি করে ২০১৪ সালে দাদীর বসতঘর দখল করে নেয়।