মীর আনিস/ফরিদপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফরিদপুর ও মধুখালী পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে ভোটারদের করোনা থেকে সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার কথা বলছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বাস্তবে দেখা গেছে, ইসির ‘পর্যাপ্ত’ করোনা সুরক্ষা ব্যবস্থা হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিস্যু ও ব্যানারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে ভোটাররা বলছেন, করোনাভাইরাস একটি ছোঁয়াচে রোগ। এ থেকে বাঁচতে সরকার বলছে ঘরে থাকতে। এ অবস্থায় ভোট দিতে গিয়ে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে এর দায় কে নেবে?
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। দুটি পৌরসভায়ই আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হয়েছে। আজ বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত কিছু গণপরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে কিছু যান চলাচল করা যাবে। নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। দুটি পৌরসভায়ই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

ফরিদপুর জেলা ও মধুখালী উপজেলা হতে ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক মালামাল বিতরণ করা হয়। সেখানে সরেজমিন দেখা যায়, প্রতিটি ভোট কক্ষের জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে– ছবিসহ ভোটার তালিকা, স্ট্যাম্প প্যাড, পিতলের সিলমোহর, বল পয়েন্ট কলম, সুচ, মোমবাতি, টিস্যু, অমোচনীয় কালির কলম, গালা, হেসিয়ান ব্যাগ, সাদা কাগজ, ছুরি, সুতা, গামপট, দিয়াশলাই বক্স, স্ক্রু ড্রাইভার, ভ্যাসলিন, ছোট মখমলের কাপড়, করোনা প্রটেকশন টিস্যু ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এরমধ্যে ভোটারদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য রয়েছে, করোনা প্রটেকশন টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও একটি সচেতনতামূলক ব্যানার। আর ভ্যাসলিন ও ছোট মখমলের কাপড় দেওয়া হয়েছে ইভিএম মেশিনে যেসব ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলবে না তাদের আঙুলে মখমলের কাপড় দিয়ে মোছানোর ও ভ্যাসলিন দেওয়ার জন্য।

দুটি পৌরসভায় ৫জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। ফরিদপুরে মেয়র প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগের অমিতাভ বোস ও বিএনপি মনোনীত নায়াব ইউসুফ । মধুখালী পৌরসভায় আওয়ামীলীগের খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বিএনপি মনোনীত সাহাবুদ্দীন আহম্মেদ সতেজ।

নির্বাচনী এলাকায় ইতিমধ্যে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনী পরিবেশ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। ভোট উপলক্ষে আজ মধ্যরাত থেকে ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।