বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এবং ফরিদপুর ( সদর-৩) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার দুপুর সোয়া একটায় মারা যান তিনি। বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার মৃত্যুতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন বলে জানান দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর পৌরসভা মেয়র নির্বাচনের ভোটে বিএনপি প্রার্থী হয়েছেন তার মেয়ে নায়াব ইউসুফ।

১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ যোগ দেন। ওই বছরে জাতীয় নির্বাচনে তিনি সংসদে নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে তিনি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৯১ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন এবং প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য পরিবার ও কল্যাণমন্ত্রী হন।

এরপর ১৯৯৬ সাধারণ নির্বাচনে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ জয়ী হলেও তার দল বিএনপি আওয়ামী লীগের কাছে হেরে ক্ষমতায় হারায়। তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনেও জিতেছিলেন, তারপরে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি তার আসন হারান। তিনি বর্তমানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ফরিদপুর জেলার বাঙালি জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামহ ছিলেন জমিদার চৌধুরী মঈজদ্দিন বিশ্বাস। তার বাবা ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া) ব্রিটিশ শাসনামলে একজন বিশিষ্ট মুসলিম লীগ নেতা এবং পাকিস্তান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিলেন। তার চাচা চৌধুরী আবদুল্লাহ জহিরউদ্দীন (লাল মিয়া) রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের সরকারে মন্ত্রিসভায় ছিলেন এবং অন্য চাচা এনায়েত হোসেন চৌধুরী পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।