কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশকে কেন্দ্র করে মারপিট ও পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে।

৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন, সেচ্ছা সেবক লীগের আহবায়ক নাজমুল হাকিম রুমি ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাসকে মারপিট করায় নাজমুল হাকিম রুমি বাদি হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান অদুদ কে প্রধান আসামী ও পৌর আওয়ামীমীলীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী মাষ্টার সহ সুনিদিষ্ট ২০ থেকে ২৫ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনেকে আসামী করে ১০ ডিসেম্বর পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতা। যার নং-৪ তিনি আরোও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী বিকাল ৪ টায় আমাদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা তাই আমি ও আমার দলের কয়েকজন পৌর শহরের কালিবাড়ীর মোড়ে এসে মাইকের ছাউন্ড পরিদর্শন করার জন্য মাইক্রোফোন হাতে নেই এমন সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান অদুদ ও তারা কয় ভাই মিলে একটি মিছিল নিয়ে এসে আমার উপর হামলা চালায় এবং আমার দুইটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও আমার লাইসেন্সধারী অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে আমি দৌরে কালিবাড়ীর মধ্যে গিয়ে গেট লাগিয়ে দিলে পরে উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের আহবায়ক নাজমুল হাকিম রুমি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন বিশ্বাসের উপর হামলা চালায়। এমন সময় আমাদের উপজেলা আওয়ামীলীর আয়োজনে বিশাল মিছিল আগমন করলে তারা পালিয়ে যায়। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলেই তাদের উপর হামলা না চালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষ করি।

অপরদিকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুদ সহ তার ভাইকে মারপিট করায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতাকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের বিরুদ্ধে ১০ ডিসেম্বর পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বলে জানান। যার নং-৫, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদ হাসান ওদুদ আরও জানান আমি একজন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ২ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ গ্রহণ করাটা আমার দায়ীক্ত ও কত্বব্য বলেই আমি প্রাই ২ হাজার লোক নিয়ে অংশ গ্রহণ করে মঞ্চে অপস্থিত হলে উপজেলা আওয়মামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতা আমাকে গালা-গালী করে মঞ্চ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় পরে আমি জোর করে মঞ্চে উঠলে ডা. এ এফ এম শফিউদ্দিন পাতা মঞ্চ থেকে পরে যায়। সমাবেশে অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলো পরে কে কি করেছে আমি জানিনা।

মামলা ২ টির তদন্তকারী কর্মকর্তা পাংশা মডেল থানার (ওসি তদন্ত) মোহাম্মদ ফকরুল ইসলাম বলেন- আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রতন মাহমুদ (রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি) ॥