ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নলবুনিয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির মরহুম সফিজউদ্দীন খন্দকারের ছেলে আঃ জব্বার খন্দকার ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষ নুরুল আমিন খন্দকারের সম্পত্তি জবরদখল করে বহু বছর যাবত ভোগ করে আসছে এবং তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি সহ প্রতিনিয়ত ব্যাপক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নুরুল আমিন খন্দকার জানান, নিজ বাড়ির এস এ ২৩৫ নং দাগের ৬ শতাংশ সম্পত্তি আঃ জব্বার খন্দকার আ.লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ বছর যাবত জবরদখল করে রেখেছে। নুরুল আমিন খন্দকার আরো বলেন, যাবতীয় কাগজপত্র থাকার পরও আজ আঃ জব্বার খন্দকার দলীয় প্রভাবে সম্পত্তি ভোগ করতে পারছি না তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এছাড়াও নিজ বাড়ির একমাত্র চলাচলের রাস্তায় বেড়ে ওঠা যৌথ মালিকানার একটি গাছ দিয়ে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে খন্দকার বাড়ির অনেকগুলো পরিবারের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন। ঐ তাল গাছেটির পাশেই রয়েছে মৃত এনায়েত খন্দকারের বসত ঘর। সেখানে জীবন বাজি রেখে বসবাস করেন এনায়েত খন্দকারের বৃদ্ধা মা। গাছটি থেকে তাল মাটিতে না পরে সকল তাল মৃত এনায়েত খন্দকারের বসত ঘরের টিনের ছাউনির উপরে পরে। সে কারনে প্রতি বছর তাকে ঘরের টিনের ছাউনি নতুন করে দিতে হয়। খন্দকার বাড়ির চলাচলের একমাত্র পথে বেড়ে ওঠা যৌথ মালিকানা ঐ তাল গাছটির অপর মালিকরা চলাচলের সুবিধার্থে গাছটি অপসরনের চেষ্টা করলে আঃ জব্বার খন্দকারের লোকজনের হামলার স্বীকার হন। হামলার বিষয়ে ঐ বাড়ির বাসিন্দা মাওলানা আবুবকর খন্দকার জানান আমাদের যৌথ মালিকানা চলাচলের পথে প্রয়োজনীয় জমির এসএ ২৩০ নং দাগের আংশিক মালিক আমার পরিবার। আর এ কারনে খন্দকার বাড়ির অনেকগুলো পরিবারের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা গাছটি আমি অপসরন করতে গেলে আঃ জব্বার খন্দকার দলীয় প্রভাব খাঠিয়ে আমারে বৃদ্ধ মা সহ আমাদের ওপর হামলা করে। এর পর আমরা স্থানীয় ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করে কোনো সমাধান পাইনি। সে সময়ে হামলার ব্যাপারে রাজাপুর থানায় আমরা একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তাই এখন স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যপারে অভিযুক্ত গালুয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নলবুনিয়া গ্রামের আঃ জব্বার খন্দকার বলেন, আমার বিরূদ্ধে দলীয় প্রভাব খাটানের অভিয়োগ মিথ্যা। আমার জমিতে তালগাছের জম্ন আগে পরে রাস্তা ও ঘর তৈরী করা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে মানুষের চলাচলে কোনো বাধা নেই বা আমি কাউকে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করি না। আমার গাছ আমি কাটবো না।

এ ব্যাপারে গালুয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সৈয়দ মনিরুজ্জামান পনু বলেন, আমাদের ৯ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি নলবুনিয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির আঃ জব্বার খন্দকারের বাড়ির চলাচলের রাস্তায় বেড়ে ওঠা যৌথ মালিকানার একটি তাল গাছ পথের মাঝে থেকে অপসরন নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে ঝামেলা চলছে আমি জানি। উভয় পক্ষের সাথে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। চেষ্টা করছি একটি সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য সামাজিক সমাধানের।