ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নে শহিদুল্লাহ নামে এক প্রবাসীকে কুপিয়ে জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক মানিকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মামলা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন আসামীরা। হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন আহত শহীদুল্লাহ।

স্থানীয় আব্দুল মতিন জানান, মাগুর জোড়া গ্রামের প্রবাসী শহিদুল্লাহ’র ৭৫ শতাংশ কৃষি জমি ১০ থেকে ১২ বছর ধরে বেদখল দিয়ে আবাদ করে যাচ্ছে এমদাদুল হক মানিক। সাম্প্রতি জমিটি উদ্ধারে শহিদুল্লাহ তৎপর হলে গত শুক্রবার এমদাদুল হক মানিকের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালায় সেলিম, নজরুল, হেলাল এবং বুলবুল। হামলা চালিয়ে শহিদুল্লাহ’র হাত ও পা কুপিয়ে গুরতর জখম করে। এঘটনায় গুরুতর আহত শহিদুল্লাহকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত শহিদুল্লাহ বলেন, চেয়ারম্যান জবর দখল করে তার জমি আবাদ করে খাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতিবাদ করায় তার উপর অন্যায় ভাবে হামলা করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন শহিদুল্লাহ।

এ ঘটনায় আহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে ১১জনকে আসামী করে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, শহিদুল্লাহ’কে গতিরোধ করে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে সেলিম ও আরেফিন দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে প্রাণে বাচার লক্ষ্যে শহিদুল্লাহ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে মানিক চেয়ারম্যান দা দিয়ে কুপ দেয়। পরে শহিদুল্লাহ অজ্ঞান হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে। মামলা করার পরেও পুলিশ আসামী ধরছে না। উল্টো মানিকের লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে।

ত্রিশাল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী ধরার চেষ্টা চলছে। অচিরেই আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান মাহমুদুল ইসলাম।