মীর আনিস/ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৮ অক্টোবর মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু মারা যাবার পর চেয়ারম্যানের পদটি শূণ্য হয়। এ পদ পূরণে উপজেলা চেয়ারম্যানের পুনঃনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল মোতাবেক আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা প্রকাশ করেছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মির্জা আহসানুজ্জামান আজাউল।
মির্জা আজাউল আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান, দলের সিদ্ধান্তের কারনে হারিয়েছেন আপন ছোট ভাই মির্জা মাহাবুবকে। ১৯৯৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দলীয় প্রধানের নির্দেশে একদলীয় নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় মির্জা মাহাবুব। পুলিশের গুলিতে মাহাবুব নিহত হলেও আসামী হয়ে জেলে যান মির্জা আজাউল ও তার ছোট ভাই মির্জা হাবিব। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারন ক্ষমায় কারামুক্ত হন।

১/১১ সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করলে মধুখালীতে প্রতিবাদ মিছিল থেকে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।

মির্জা আজাউল ১৯৯০ মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হন। মির্জা আজাউল সরকারী আইনউদ্দীন কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। তিনি কলেজ সংসদের ছাত্রলীগের নির্বাচিত ভিপির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মধুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও আহবায়ক ছিলেন। যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য ছিলেন। তিনি মধুখালী থানা আওয়ামীলীগের সদস্য। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের পাশাপাশি সামাজিক ক্ষেত্রেও অবদান রেখে চলেছেন সমান ভাবে । মির্জা আজাউল মধুখালী বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা ও মির্জা মাহাবুব স্মৃতি সংসদের সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বিষয়ে মির্জা আজাউল বলেন আমার পরিবার আওয়ামী পরিবার। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ করি, আমি ও আমার পরিবার আওয়ামীলীগ করতে গিয়ে আমার ভাইকে হারিয়েছি। আমি কেন মনোনয়ন পাবো না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মানণীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
তিনি আরও বলেন আমার রাজনৈতিক জীবনে কোন অন্যায়ের কাছে মাথানত করি নাই, কোন সন্ত্রাসী-চাদাবাজকে প্রশয় দেই নাই। সার্বিক বিবেচনা করে দলীয় সভানেত্রী আমাকে মুল্যায়ন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।