ব্রিটিশ রাজবধূ ডাচেস অব সাসেক্স ও প্রিন্স হ্যারি মার্কিন টিভি ব্যক্তিত্ব অপরা উইনফ্রিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। সেখানে মেগান বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এর মধ্যে তার সন্তানের গায়ের রঙ কালো এ নিয়েও রাজপরিবারের মধ্যে কানাঘুষা হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এত কঠিন হয়ে গিয়েছিল যে, মেগান আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন।

মেগান বলেন, যখন তিনি সহায়তা চেয়েছেন তখন তিনি তা পাননি। তার সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল যখন রাজপরিবারের এক সদস্য হ্যারিকে তাদের ছেলের গায়ের রঙ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিল যে সে ‘কতটা কালো’ হতে পারে। প্রিন্স হ্যারিও বলেছেন যে, তিনি যখন সরে আসতে চেয়েছিলেন, তখন তার বাবা প্রিন্স চার্লসও তার ফোন ধরাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মেগান বলেন, একসময় তিনি একাকী বোধ করতে থাকেন যখন তাকে বলা হয় যে, তিনি কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না। এমন একসময় দাঁড়ায় যখন তিনি মাসের পর মাস বাড়ি থেকে বের হননি। অপরাকে তিনি বলেন, তিনি একসময় ভাবতে শুরু করেন ‘এর চেয়ে বেশি একা হওয়া সম্ভব নয়।’ অপরা তাকে জিজ্ঞেস করেন যে, এক পর্যায়ে গিয়ে তিনি নিজের ক্ষতি করার বা আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন কিনা? উত্তরে মেগান বলেন, ‘হ্যাঁ। এটা খুব বেশি স্পষ্ট ছিল। খুব স্পষ্ট ও ভয়ঙ্কর। সেই সময় বুঝতে পারছিলাম না যে কার কাছে যাব।’

অপরা মেগানকে জিজ্ঞেস করেন যে, রাজপরিবার কেন তার ছেলে আর্চিকে প্রিন্স ঘোষণা করেনি। মেগান বলেন, ‘আমার গর্ভবতী থাকার মাসগুলোতে আলোচনা চলছিল যে তাকে সুরক্ষা দেওয়া হবে না, তাকে হয়তো কোনো পদবি দেওয়া হবে না এবং জন্মের পর তার ত্বক কতটা কালো হবে তা নিয়েও উদ্বেগ এবং আলোচনা চলেছে। তিনি বলেন যে, এসব কথা হ্যারিকে বলা হয়েছিল এবং তার কাছ থেকেই তিনি এসব বিষয় জেনেছেন।

উল্লেখ্য, ১৯১৭ সালের একটি আইনের কারণে ডিউক এবং ডাচেস অব সাসেক্সের সন্তানরা স্বাভাবিকভাবেই প্রিন্স কিংবা প্রিন্সেস হবেন না, যদি না রানি কোনো পদক্ষেপ নেন।