‘আগে টিকা নিবেন, তার পর বেতন তুলবেন’, শিক্ষকদের জন্য এমন নির্দেশনা দিয়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এই নির্দেশনা পেয়ে উপজেলার শিক্ষক-কর্মচারীগণ নিজ দায়িত্বে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে টিকা নিচ্ছেন। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধোয়া-মোছাসহ মেরামত কাজ চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে করোনার টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা কম।

এরই মধ্যে ব্যাংকগুলোতে চলে এসেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন-ভাতা। ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে হলে প্রয়োজন হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মনিরুল হাসান জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলায় এমপিওভুক্ত ৫৯টি বিদ্যালয় এবং ৩৬টি মাদ্রাসা আছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন ৯৯২ জন শিক্ষক। ব্যাংকের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের প্রত্যয়নপত্র নিতে হলে আগে তাদের করোনার টিকা নিতে হবে।

তিনি আরও জানান, যারা করোনার টিকা গ্রহণ করবেন তাদের সঙ্গে সঙ্গেই বেতনের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে। যারা বিলম্ব করবেন তাদের বিলম্বে প্রত্যয়নপত্র দেবেন। করোনার টিকা না নিলে তিনি শিক্ষকদের বেতনের প্রত্যয়নপত্র দেবেন না। এই নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষকদের মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার হিড়িক পড়েছে।