জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, বাঙালির বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাশিয়ারও সত্যিকারের বন্ধু। শুক্রবার (১৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর তৃতীয় দিনের আয়োজনে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের প্রশংসা করে সের্গেই লাভরভ বলেন, অসাধারণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছে রাশিয়া। লড়াকু নেতা হিসেবে জনগণের স্বাধীনতা ও সুখের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি রাশিয়ার সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন।

১৯৭২ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধুর রাশিয়া সফরের কথা উল্লেখ করে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সেই সফরে যান বাংলাদেশের তখনকার সরকারপ্রধান শেখ মুজিব। সের্গেই লাভরভ বলেন, সেই সময়ই সমতা, পারস্পরিক সম্মান ও স্বার্থ বিবেচনার নীতির ওপর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি নির্মাণ হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়ার ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা স্মরণ করে লাভরভ বলেন, নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায় করতে গিয়ে কঠিন মূল্য দিয়েছিল পূর্ববাংলার মানুষকে। সেসময় আমাদের দেশ বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সমর্থন দেয় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখে।

১৯৭২ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাইন ও বিধ্বস্ত জাহাজ সরাতে রুশ নৌবাহিনীর কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন রাশিয়ার মন্ত্রী।

বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দেশ অগ্রগতি ও ক্রমাগত উন্নয়নের দিকে স্থিরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মর্যাদা অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার বাংলাদেশ।

রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা দু’দেশের সবচেয়ে বড় যৌথ প্রকল্প, যা ২০২৩-২৪ সালের দিকে বিদ্যুৎ খাতে সর্বশেষ প্রযুক্তি নিয়ে পূর্ণ উৎপাদনে যাবে।