ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বর এলাকায় যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটক ‘শিশুবক্তা’ মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর থানা থেকে বেরিয়ে নেত্রকোনার উদ্দেশ্যে রওনা করেন তিনি। গাড়িতে চড়েই ফেসবুক লাইভে এসে তাকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি ভক্তদের জানান মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! পুলিশ আমাকে থানায় নেয়ার পর কিছুক্ষণ রেখে ছেড়ে দিয়েছে। যারা আমার আটকের পর প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং খোঁজ-খবর নিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ। ইসলামবিরোধী সব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামীতেও আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকবো।

পল্টন মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী আশরাফুল হক বলেন, আটক শিশুবক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পল্টন থানা থেকে তার অভিভাবক এসে নিয়ে যান। রফিকুল ইসলামকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি বলতে পারবো না।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে মতিঝিল শাপলা চত্বরে ছাত্র অধিকার পরিষদ মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আধঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। এসময় শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামসহ ১১ জনকে আটক করে পুলিশ।

আটকদের প্রিজনভ্যানে নিয়ে যাওয়ার সময় নুরুজ্জামান নামের একজনের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি। ‘মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী সমর্থক’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে লাইভটি শেয়ার করা হয়।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানি রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই শিশুবক্তা বলেন এবং এ হিসেবেই পরিচিতি পান তিনি। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম ২০ দলীয় জোটভুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন বলেও জানা গেছে।