চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ডাকা রোববারের হরতালে বাধা দিলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূরুল ইসলাম। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জড়ো হয়ে শনিবার বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের ভেতরে হেফাজতে ইসলাম এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষোভে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল (২৮ মার্চ) যদি আমাদের হরতালে বাধা দেয়া হয়, তাহলে এর চেয়েও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

সমাবেশে বক্তারা রোববারের হরতাল সফল করার জন্য যার যার এলাকায় সকাল ৬টা থেকে রাস্তায় অবস্থান নেওয়ার আহবান জানান। তারা বলেন, আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। মসজিদের বাইরে পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন সকাল থেকেই। পুলিশের একটি দল পল্টন মোড়ে রয়েছে। অন্যদিকে র‍্যাব বায়তুল মোকাররম মার্কেটের পাশে অবস্থান নিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যেকোনো সংঘর্ষ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছি বায়তুল মোকাররম এলাকায়।’ বিশৃঙ্খলা ঘটে এমন কর্মসূচি না দেয়ার জন্য ইসলামি দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত তৌহিদী জনতার প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেয়া হবে।’ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। প্রয়োজনে শীর্ষ ওলামাদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হেফাজত আমির।

আগের দিন বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ করেন হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। সে বিক্ষোভে সংঘর্ষের সময় হাটহাজারীতে গুলিতে চারজন নিহত হন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সংঘর্ষে নিহত হওয়ার প্রতিবাদের শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও রোববার হরতাল কর্মসূচি দেয় দলটি।