অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ ২৭ মার্চ, শনিবার বিকেল পাঁচটায় ল্যাকেম্বাস্থ অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. খায়রুল চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিল্টনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা এস এম কামাল হোসেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পচাত্তরের পনেরোই আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লক্ষ বীর শহীদ এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমদাদ হক, সহসভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মাল্য তালুকদার, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মতিন, বিশিষ্ট কলামিস্ট অধ্যাপক শাখাওয়াৎ নয়ন, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান হৃদয়, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান শামীম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান চৌধুরী সুমন, নিউ সাউথ ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য ওসমান গনি, অস্ট্রেলিয়া যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন কাদের, খুশবু মো. এম চৌধুরী, প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে আজ বিস্ময়কর এক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারী আমেরিকাও আজ তাদের কংগ্রেসে বাংলাদেশকে তাদের অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দ আজ এই মহতী লগ্নে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

বাংলাদেশের বাইরে এবার অস্ট্রেলিয়ার বুকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সবচেয়ে বেশী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় পার্লামেন্টে, নিউ সাউথ ওয়েলস ও অস্ট্রেলিয়া ক্যাপিটাল টেরিটরির রাজ্য পার্লামেন্টেও ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের এমপিরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সংসদে বক্তব্য রেখেছেন এবং বিবৃতি দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাঙালি হিসাবে আমরা আজ গর্বিত।

বক্তারা আরো বলেন, বিদেশের বুকে রাজনীতি মানে ভাতের হোটেলে মারামারি নয়। এখানে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো যাতে মূলধারার রাজনীতির সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের আরো উন্নয়ন ঘটানো যায়। প্রবাসে কিছু বাংলাদেশী আছে যারা বিভিন্ন আড্ডায়, আলোচনায় বাংলাদেশ এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিদেশর বুকে ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করে। খোঁজ নিলে জানা যাবে, হয় এরা নিজেরা কিংবা এদের পূর্বপুরুষ স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সাথে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। এদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় মুজিবাদর্শের সকল সৈনিককে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য আহ্বান জানান। আলোচনাসভা শেষে বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয় এবং উপস্থিত সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।