সপ্তাহব্যাপী লকডাউন কার্যকর করতে মাদারীপুর প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয় সোমবার সকালে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় সচেতনামূলক হ্যান্ড মাইকিংসহ কঠোর অবস্থানের বিষয় জানানো হয়। মাদারীপুর পৌর শহরের পুরানবাজার, নতুন শহর, ইটেরপুলসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।
জানা যায়, সরকারের বেঁধে দেয়া লকডাউনের প্রথম দিন মাদারীপুরে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ইজিবাইক, অটোরিক্সায় যাত্রীরা যাতায়াত করছে। অন্য দিনের তুলনায় সাধারণ মানুষকে বাহিরে কম দেখা গেছে। মাদারীপুর প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। সকালে মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এহসানুর রহমান ভূইয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন গিয়াস, সদর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের একটি টিম শহরের পুরানবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় লকডাউনের প্রথম দিন হওয়ায় কাউকে আর্থিক জরিমানা ও সাজা দেয়া হয়নি। তবে আগামীকাল থেকে আরো কঠোর হওয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়। হ্যান্ড মাইকে সবাইকে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, লকডাউন বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। নির্দিষ্ট কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাহির হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিদিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের শাস্তি দেয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এহসানুর রহমান ভূইয়া বলেন, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহল দিচ্ছে। কেউ মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না। যদি কেউ সরকারের নির্দেশ অমান্য করে জেলা পুলিশ কাউকে ছাড় দিবে না।

মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আগের চেয়ে আরো ভয়াবহ। এখন কারো করোনা হলে অল্প দিনেই শ্বাসকষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছে। তাই সরকারের দেয়া সপ্তাহব্যাপী যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, তা কার্যকর করতে আমরা মাঠে নেমেছি। যারা আইন অমান্য করবে তাদের ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রথম দিন হওয়ায় কাউকে আর্থিক জরিমানা এবং সাজা দেয়া হয়নি। মঙ্গলবার থেকে প্রশাসন সব ব্যবস্থাই করবে।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।