আলোচিত শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ তে পাঠানো হয়েছে। শনিবার র‌্যাব ও পুলিশের কড়া প্রহরায় তাকে ওই কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারা সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ তে পাঠানো হয়। বেলা ১০টার দিকে শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২তে পৌছায়। এ সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদেও পাশাপশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ছিল বলে কারাসূত্রে জানাগেছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার ভোররাতে আলোচিত শিশু বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৬) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার লেটিরকান্দা এলাকার বাড়ি থেকে আটক করে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। ওই দিন রাতেই গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানায় তাকে হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে ওই থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বৃহষ্পতিবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্র তথা সরকার বিরোধী ও আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী উস্কানী ও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রদান করেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। যা তার নির্দেশে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এসব উস্কানীমূলক বক্তব্যের কারনে তার অনুসারীরা গত ২৬ মার্চ ঢাকা বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতা করে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। গাজীপুর ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঢাকায় অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাব-১’র ডিএডি মোঃ আব্দুল খালেক বাদী হয়ে গাছা থানায় বিতর্কিত বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে বৃহস্পতিবার গাজীপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. শরিফুল ইসলাম এর আদালতে হাজির করা হলে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। জেলা কারাগারে দুই দিন থাকার পর শনিবার তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ তে স্থানান্তর করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রফিকুল ইসলাম মাদানীর রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।