লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামসুল হক সরকারি গাড়ি নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে সরকারি জীপগাড়ি নিয়ে ৫দিন আগে ঢাকায় গেলেও আজও ফেরেননি। এনিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডাঃ মোহাম্মদ শামসুল হক (পরিচিতি নম্বর ১৩২৯৭৬) গত ১ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পার-২ অধিশাখার উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত সিনিয়র স্কেলে পদোন্নতি পেয়ে গত ৮ মার্চ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদে যোগদান করেন। যার স্মারক নম্বর ৪৫.১৪৩.০৮০.০৭.০০.০০১.২০২০-১৪১। যোগদানের পর গত ১০ এপ্রিল হাসপাতালে স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেনের সঙ্গে সমন্বয় সভা শেষ করে ওইদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। শুধুমাত্র সরকারি ও হাসপাতালের কাজে ব্যবহারে তার জন্য বরাদ্দ টয়েটো র‌্যাব ফোর প্রায় ৭০ লাখ টাকা দামের গাড়ি নিয়ে ওইদিন রওনা দেন তিনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়ীচালক রুবেল হোসেন বলেন, ‘স্যার আমাকে যেখানে যেতে বলবেন, আমি তো সেখানেই যেতে বাধ্য। স্যার আমাকে নিয়ে এসেছেন। ঢাকায় যাওয়া ঠিক হয়েছে কি হয়নি- এ বিষয়ে স্যার বলতে পারবেন। আপনি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন।’

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আফসানা আফরোজ বলেন, ‘গত ১০ এপ্রিল তিন দিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শামসুল হক স্যার। তিনি করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ফেরার কথা রয়েছে।’
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মুলেন্দু রায় বলেন, ‘পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গত ১০ এপ্রিল তিন দিনের ছুটিতে ঢাকায় নিজ বাসায় গেছেন। লালমনিরহাট জেলার বাইরে সরকারি গাড়ী নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাকে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। যদি তিনি বিধি বহির্ভূত এ ধরনের কাজ করেন, তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’