গাজীপুরে কালিয়াকৈর উপজেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর ও ওলামা পরিষদের সভাপতিসহ তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার মধ্যরাতে পুলিশের উপর ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। হামলাকারীদের ককটেল বিষ্ফোরণে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ সর্টগানের কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর ও কালিয়াকৈর ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী মাওলানা মোঃ এমদাদুল্লাহ ওরফে এমদাদুল হক (৪৮), তার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী (৫০) ও ছোটভাই মাওলানা মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪০)। এদের মধ্যে এমদাদুল হক স্থানীয় ডাইনকিনি এলাকার চন্দ্রা দারুল-উলুম মাহমুদ নগর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও আশরাফুল ইসলাম একই মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের সহকারি শিক্ষক এবং মোহাম্মদ আলী মুদি ব্যবসায়ী। তারা সবাই কালিয়াকৈর উপজেলার ডাইনকিনি এলাকার হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ৩৫/৪০জন দুস্কৃতিকারী ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এবং যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা চালানোর জন্য রবিবার দিবাগত রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা টু কালামপুরগামী রোডে চন্দ্রাস্থ সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়েছে। এ গোপন সংবাদ পেয়ে জেলা পুলিশের একটি দল রাত একটার দিকে সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশ সদস্যরা কালামপুর এলাকায় পৌছলে দুস্কৃতিকারীরা অতর্কিতভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। নিক্ষিপ্ত ককটেলগুলোর বিস্ফোরণে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড সর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হেফাজতে ইসলামের কালিয়াকৈর উপজেলা আমীর এমদাদুল হক ও তার অপর দুই ভাইকে আটক করে। আহত পুলিশ সদস্যদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানার এসআই মোর্শেদ আলী মোল্লার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সোমবার কালিয়াকৈর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।