দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৮৮ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার হাজার ৫৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জন। গত একেদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ছয় হাজার ৮১১ জন। এনিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ছয় লাখ ২৮ হাজার ১১১ জন। আজ মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৬০টি ল্যাবরেটরিতে ২৭ হাজার ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫২ লাখ ২১ হাজার ২৭৫টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এদিকে বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ২৬ লাখ ৯৬ হাজার ১ জন। আর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ১৫ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১২ কোটি ১১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪১ জন।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৪৩ জন আর ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪২ জন মারা গেছেন।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ কোটি ৫৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১৪ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৫০ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭১৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯ জনের।

করোনাভাইরাস শনাক্তের তালিকায় চারে রয়েছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১ লাখ ১ হাজার ১৮০ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৪১ লাখ ৫০ হাজার ৮৪২ জন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।