গাজীপুরে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে মানসিক প্রতিবন্ধি এক যুবতীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর নদীতে ফেলে খুন করেছে এক কারখানার নিরাপত্তাকর্মীসহ কয়েক যুবক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনিলিভার ফ্যাক্টরীর এক নিরাপত্তা কর্মীকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্লুলেস এ ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিকেলে গাজীপুর পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ রুবেল হোসেন (২১)। সে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন নরুণ মধ্যপাড়া এলাকার ওসমান গনির ছেলে এবং ইউনিলিভার ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা কর্মী।

পিবিআই এর সুপার জানান, গত ২৩ জুন সকাল ৭টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন মধ্য পানজোড়া এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে তাহমিনা (২৫) বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। একদিন পর (২৫ জুন) পার্শ্ববর্তী বালু নদীর নগরবেলা বাহুরঘাট এলাকা হতে অজ্ঞাত এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি তাহমিনার বলে শনাক্ত করেন তার বড় বোন জাহানারা। নিহতের ময়না তদন্ত রিপোর্ট থেকে জানাযায়, ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষনের পর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর নির্দেশে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস এ ঘটনার মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় গাজীপুরের পিবিআইকে। প্রায় ১০ মাস পর ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুবেল হোসেনকে সোমবার ভোর রাতে গ্রেফতার করে পিবিআই। রুবেল ইউনিলিভার ফ্যাক্টরীর স্থানীয় গোডাউনের নিরাপত্তা কর্মী। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপ্রেক্ষিতে ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর চাঞ্চল্যকর তাহমিনা হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত রুবেল জানায়, ঘটনারদিন সকালে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ইউনিলিভার ফ্যাক্টরীর স্থানীয় গোডাউনে চাকুরির খোঁজে আসে তাহমিনা। এসময় চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাহমিনাকে গোডাউন সংলগ্ন মেসে নিয়ে যায় নিরাপত্তাকর্মী রুবেল। সেখানে রুবেল ও তার অপর তিনজন সহযোগী পালাক্রমে তাহমিনাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে ভিকটিমকে উলুখোলা ব্রীজে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীরা ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ব্রীজের রেলিংয়ের উপর দিয়ে উচু করে বালু নদীতে নিক্ষেপ করে হত্যা করে।