নওগাঁর পত্নীতলা থানার ওসির নির্যাতনে হামিদুর রহমান (৫০)নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। মৃত হামিদুর রহমান ঐ উপজেলার বোরাম গ্রামের খোদাবক্স এর ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায় ১০-১২ দিন আগে স্বামী- স্ত্রী মধ্যে মনোমালিন্য হলে হামিদুর তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। এ বিষয়ে তার স্ত্রী থানায় অভিযোগ করলে ওসি, হামিদুর রহমান কে থানায় তুলে নিয়ে যায় এবং পুনরায় বিয়ে করতে বলে। হামিদুর এতে রাজি না হওয়ায় ওসি তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। যার ফলে হামিদুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। স্বজনরা তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করান।

তারপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন কিন্তু হামিদুর রহমান কিছুতেই মাথা তুলতে পারছিলেন না এবং গতকাল মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল রক্ত বমি শুরু করলে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোগীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ডাক্তার রোগীকে রামেকে রেফার্ড করেন। স্বজনরা তাকে নিয়ে যেতে লাগলে পথিমধ্যেই মারা যায়।
মৃত হামিদুরের ছেলে ও মা অভিযোগ করেন ওসির পিটুনিতেই তার ছেলের অকাল মৃত্যু হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন। এলাকাবাসী ও এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ডাঃ এসএম খালিদ সাইফুল্লাহ সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন রোগী গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না।সাধারণ রোগীর মতই তাকে ভর্তী করানো হয়েছিল।

পন্তীতলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)হাবিবুর রহমান বলেন লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে। তারপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা করা গ্রহন করা হবে।