গাজীপুরের কালীগঞ্জে পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে শনিবার সৎ ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে কলেজ শিক্ষার্থী এক ভাই নিহত ও অপর দুই ভাই বাবুল শেখ (৩৫) ও বুলবুল শেখ (৩০) আহত হয়েছে। নিহতের নাম- আরিফ শেখ (২৪)। সে কালীগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের আজমতপুর এলাকার সালদিয়া গ্রামের শরাফউদ্দিনের প্রথম পক্ষের ছেলে এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজে অনার্স (সম্মান) শ্রেণীর শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার পাশাপাশি আরিফ গাজীপুর মহানগরীর হাড়িনাল এলাকায় ভাড়া থেকে জুতার ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, কালীগঞ্জের সালদিয়া গ্রামের শরাফ উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও তিন সন্তানের এক জননীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তারা একই এলাকায় পৃথক বাড়িতে বাস করেন। সম্প্রতি প্রথম স্ত্রী সোলেমা খাতুনের দুই প্রবাসী ছেলে দ্বিতীয় স্ত্রী দুধমেহেরের বাড়ির পাশে একখন্ড জমি কিনে। শুক্রবার দুপুরে ওই জমিতে পাতা কুড়াতে যান সোলেমা খাতুন। এসময় পাতা কুড়ানোকে কেন্দ্র করে দুই স্ত্রীর মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে রাতে দুধমেহেরের চার ছেলে (প্রথম সংসারের ৩জন ও বর্তমান সংসারের একজন) সোলেমা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে তাকে লাঞ্চিত করে ও হুমকি দেয়। এ ঘটনার পরদিন শনিবার ভোরে প্রথম স্ত্রীর (সোলেমা খাতুন) তিন ছেলে বাবুল শেখ (৩৫), বুলবুল শেখ (৩০) ও আরিফ শেখ (২৪) মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি থেকে গাজীপুর শহরে যাচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুধমেহেরের চার ছেলে (প্রথম সংসারের তিন সন্তানসহ) ওই মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে। তারা মোটর সাইকেল আরোহী তিন সৎ ভাইকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও মারধর করে।

নিহতের বাবা জানান, আহতদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আরিফকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত অপর দুইজনের মধ্যে বুলবুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, পারিবারিক বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।