আমি অনেক ভাগ্যবান কারণ আমার কাছে এতো ভালো মা আছে। মা কে নিয়ে লিখতে বসলে হয়তো লিখে শেষ করতে পারবো না। মা বলতেই স্নেহ মায়া মততার পরশ। মা জীবনের শেষ দিন পযর্ন্ত তাদের ছেলে-মেয়েদের ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখে। আর আমার মা র কথা যদি বলি সে তো আমার পৃথিবী। আমার জীবনে ভালো থাকার একটাই কারণ আমার মা আমার সুখে দুখে সব সময় আমার পাশে আছে। আমি যদি কখনো কোনো কারণে কষ্ট পাই তখন দেখি মা ও আমার জন্য কষ্ট পাচ্ছে। সে কখনো আমার কষ্টে ভরা মুখটা দেখতে চায় না। মা সব সময় চায় যাতে আমি ভালো থাকি। উনি ওনার সব টুকু দিয়ে চেষ্টা করে। যাতে আমার মুখে সর্বদা হাসি থাকে। সেই ছোট্ট বেলা থেকে আমার হাতের লেখা থেকে শুরু করে সব কিছু মা র কাছ থেকে শিখছি। মা আমাদের পরিবারের সব কাজ শেষ করে আমাকে নিয়ে পড়তে বসত। কবিতা গল্প মা র মুখ থেকে শুনে শিখতাম। মায়েরা সারাজীবন শুধু আমাদেরকে নিস্বার্থভাবে দিয়েই যায় বিনিময়ে কিছুই আশা করে না। আসলে মায়ের ভালোবাসার সাথে কারো তুলনা হয় না। আমার মাকে আমি সবসময় দেখি আমি কাজে গেলে বার বার ফোন করেন। কি করি কেমন আছি। আমি যখন বাসায় ফিরি তখন উনার শান্তি। তা না হলে আমার চিন্তায় মা সব সময় অস্তির হয়ে থাকেন। মায়ের সাথে মেয়েদের সম্পর্কটা খুব মধুর সারাদিন মায়ের সাথে কুনসুটি লেগেই থাকে। আর মা দূরে গেলে তখন খুবই কষ্ট লাগে। তখনই বুঝতে পারি মাকে কতো ভালোবাসি। আর অসুস্থ হলেই বুঝা যায় মা ছাড়া আর কেউ আপন হয় না। মা সব সময় উনার মততার পরশ দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন। আমি আমার আল্লাহর কাছে সর্বদা চাই আমার মা যেন বেচেঁ থাকেন হাজার বছর। মা কে কখনও বলা হয়নি আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি মা। আমি তোমাকে ভালোবাসায় মুড়িয়ে রাখি মা। মায়ের জন্য ভালোবাসা থাক অন্তত অসীম। এই মা দিসবে একটা চাওয়া পৃথিবীর সকল মা যেন ভালো থাকেন।

লেখক : নূরুন্নাহার চৌধুরী কলি
শিক্ষার্থীও গণমাধ্যমকর্মী