পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানায় পৃথক ঘটনায় ভ্যান চালক মন্টু শেখকে (৫৫) কুপিয়ে ও সিগারেট কেনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে স্বদেশ চন্দ্র সাহাকে (৫০) পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে রানা আহমেদ (২৫) নামের এক যুবক গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ও শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে আমিনপুর থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের টাংবাড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত সোহরাব শেখের ছেলে ভ্যান চালক মন্টু শেখ ভ্যান গাড়ী নিয়ে মাষ্টিয়ায় গ্রামের ইচের বিলের পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ছিনতাইকারীরা তার পথ রোধ করে গাড়ী ছিনতাইকালে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বিলের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় ভ্যানচালক মন্টু শেখকে তারা হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মন্টু শেখের ছেলে আশরাফুল শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি রওশন আলী বলেন, থানার জাতসাখিনী ইউনিয়নের রাজনারায়নপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন সাহার ছেলে স্বদেশ চন্দ্র সাহা ঘটনার রাত আটটার দিকে নগরবাড়ি নতুন বাজার এলাকায় তার দোকান থেকে সিগারেট ক্রয় করেন পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চরবোরামারা গ্রামের কায়ুম মোল্লার ছেলে হালিম মোল্লা। সিগারেট ক্রয়কে কেন্দ্র করে স্বদেশের সাথে হালিমের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হালিম মোল্লা স্বদেশকে বেধরক পেটায়। এরই এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই স্বদেশের মৃত্যু হয়।
এদিকে শুক্রবার ভোররাতে থানার শিমুলিয়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে রানা আহমেদ (২৫) বাড়ির পাশে গাছের সাথে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রানা সাত-আট মাস আগে বিবাহ করেছে। ভোরে তার স্ত্রী তাকে বিছানায় না পেয়ে ঘরের বাহিরে আসতে চাইলে সে দেখে ঘরের বাহির থেকে সিকল দেয়া। তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশিরা ছুটে এসে তার ঘরের সিকল খুলে দেয়। পরে বাড়ির পাশের গাছের সাথে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা পরিবারের কেউ বলতে পারেনি।
খবর পেয়ে সুজানগর-আমিনপুর সার্কেল অফিসার মোঃ ফরহাদ হোসেন, আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী, ওসি তদন্ত তানভীর আহম্মেদ সবুজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শণ করেছে। ওসি রওশন আলী বলেন, ঘটনাগুলো অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। ঘটনার এক কিলোমিটার দুর থেকে নিহত মন্টু শেখের ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। আর ঘটনার পর থেকে হালিম মোল্লা পলাতক রয়েছে।