চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাতজনের শরীরে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। তবে তাদের কারও ভারত ভ্রমণের ইতিহাস নেই। জেলাটিতে এখন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন। আজ শনিবার গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘নতুন যে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ওই ধরনটি শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাতজন। তাদের কারও ভারত ভ্রমণের ইতিহাস নেই। তারা স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন। এ জেলায় সংক্রমণের অবস্থা বিবেচনায় বলাই যায় জেলাটিতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে। বাকি ছয়জনের ভারত ভ্রমণের ইতিহাস আছে। এ পর্যন্ত দেশে সব মিলিয়ে ২৩ জনের শরীরে ওই ধরনটি পাওয়া গেছে।’

দেশে করোনা মহামারিতে যুক্ত হয়েছে করোনার ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট)। যার প্রভাবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেও তুলনামূলকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী অন্য জেলাগুলোও লকডাউনের চিন্তা-ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম।