নওগাঁয় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলাকে ৭ দিনের বিশেষ সর্বাত্বক লকডাউন ঘোষনা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। আজ বুধবার (৩ জুন) রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে পরবর্তী ৭দিন এই লকডাউন বলবৎ থাকবে। এ বিষয়ে ১৫টি বিধি নিষেধ আরোপ করে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২ জুন) বেলা ২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো: হারুন-অর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন-সম্প্রতি নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা সুপারিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলাকে ৭ দিনের সর্বাত্বক লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি।

তিনি আরও বলেন-লকডাউন ঘোষিত এলাকায় সব দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। লকডাউন চলাকালে সংবাদপত্র, রোগী বহনকারী গাড়িসহ জরুরী পরিসেবা ও পণ্যবাহী পরিবহন চালু থাকবে। দেশের যে কোন স্থান থেকেও যানবাহন এই জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না এবং নওগাঁ থেকেও কোন যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। লকডাউন ঘোষিত এলাকায় সকাল ৭টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচা কেনা করা যাবে। অতি জরুরী ছাড়া কেউ ঘর হতে বের হতেও পারবে না।

এছাড়াও সাপাহার, পোরশা ও মান্দা উপজেলা, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত সংলগ্ন সকল হাট বাজার বন্ধ থাকবে। তবে সকাল ৭টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বেচা কেনা করা যাবে। এবং আমের আড়ৎ পৃথক জায়গায় ছড়িয়ে বেচা-কেনা করা যাবে। বাগান থেকে আম ট্রাকে করে প্রেরণ করা যাবে ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আম পরিবহন চালু থাকবে। আর এসব বিধি নিষেধ কেহ ভঙ্গ করলে ভঙ্গকারীদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উত্তম কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।