সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল রাজধানীর সাধারণ যাত্রীরা। নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে সিএনজিচালকদের অনীহা ও সরকার নির্ধারিত ভাড়া থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করাসহ বিভিন্ন কারণে নগরবাসী এই পরিবহন খাতের ওপর ক্ষুব্ধ। যাত্রীদের চাহিদামতো গন্তব্যে নিয়ে যাওয়াও মিটার অনুযায়ী ভাড়া আদায়ে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও সফল হয়নি সরকার। এ সুযোগে সিএনজি অটোরিকশাচালকরা হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া।

এমন পরিস্থিতিতে সিএনজি-অটোরিকশার নৈরাজ্য থেকে মুক্তি দিতে ‘উবার’, ‘পাঠাও’সহ কয়েকটি অ্যাপসনির্ভর পরিবহন সার্ভিস দিচ্ছে যাত্রীদের চাহিদামাফিক সেবা। ফলে সাধারণ যাত্রীরা সিএনজি-অটোরিকশা বাদ দিয়ে ঝুঁকে পড়ছেন অ্যাপসনির্ভর পরিবহন সার্ভিসের দিকে। আর দিনে দিনে সিএনজি অটোরিকশায় প্রতি সাধারণ যাত্রীদের আগ্রহ কমতে শুরু করেছে। এতে যাত্রী না পেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন সিএনজি-অটোরিকশা চালকরা।

তারা ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে অ্যাপসভিত্তিক সার্ভিসগুলোকে অবৈধ দাবি করে। এতে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয় সমালোচনা ঝড় ওঠে। অনেকেই সিএনজি চালিত অটোরিকশা বর্জনের ঘোষণা দেন।

তবে এবার রাইড শেয়ারিং সার্ভিস উবার রাজধানী ঢাকায় তাদের সেবা তালিকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা অন্তর্ভুক্ত করেছে। সোমবার (০৭ জুন) উবার অ্যাপ ব্যবহার করে গিয়ে ব্যবহারকারীরা গন্তব্য বেছে নেওয়ার পরে নিয়মিত বাহন হিসেবে উবারএক্স, প্রিমিয়ার, মোটো, উবারএক্সএল এর পাশাপাশি নতুন বিকল্প ‘সিএনজি’ দেখতে পাচ্ছেন। রাইড শেয়ারিং সার্ভিস চালু হওয়ার পর সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক ও চালকদের একটি অংশ যাত্রী কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে রাইড শেয়ারিং সেবায় যোগ দেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

২০১৯ সালে উবার চট্টগ্রামে প্রথম সিএনজিচালিত অটোরিকশা তাদের সেবায় অন্তর্ভুক্ত করে।