রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের হয়রানী করে অর্থ আদায়কারী ১০ দালালকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ। রোববার (১৩ জুন) দুপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি এন্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ হতে সক্রিয় দালাল চক্র সদস্যরা চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেখিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য টানাহেচড়া করাকালীন ১০ জন দালালকে আটক করা হয়। তারা দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ রোগীদের নিকট থেকে নানান ভাবে প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত ফি আদায়, হাসপাতালে রোগী পরিবহনের ট্রলি ব্যবহারের জন্য অবৈধভাবে ফি আদায়, অননুমোদিতভাবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ করতঃ অবৈধভাবে বিভিন্ন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের নামে প্রতারণা করাসহ নানা অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে সাধারণ রোগীদের নিঃস্ব করে আসছে।

আটককৃতরা হলেন, পরশুরাম থানার লাল মিয়ার ছেলে মোঃ মোরশেদ আলম (২৪), দিনাজপুর পার্বতীপুর এলাকার রফিজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ মাসুদ শাহ (২৭), মাহিগঞ্জ পাঠানপাড়ার রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৩৫), পঞ্চগড় দেবীগঞ্জের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মোঃ মাহবুব আলম(৩৪), হাজিরহাট জগদীশপুর এলাকার মৃত আজিবর রহমানের ছেলে মোঃ আশরাফুল ইসলাম(৩২), পঞ্চগড় আটোয়ারীর রমেশচন্দ্রের ছেলে উত্তম কুমার (২৩), উত্তরখলেয়া এলাকার মনোরঞ্জনের ছেলে শ্রী আপন কুমার(২৩), নীলফামারী জলঢাকা শোলমারী এলাকার মঈনুল হাসানের ছেলে মোঃ রিফাতুল ইসলাম(২১), গঙ্গাচড়া এলাকার বিষ্ণুরায় এলাকার শ্রী উজ্জ্বল রায়(২৪), নীলফামারী জলঢাকা চেরেঙ্গা এলাকার দীনেশ রায়ের ছেলে কমল রায়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেও প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।অভিযানে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ ছালেহ্ আহাম্মদ পাঠান, পুলিশ পরিদর্শক( নিঃ) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ, পুলিশ পরিদর্শক( নিঃ) মোতালেব হোসেন প্রমুখ অংশ নেন।

সুজন মহিনুল,বিশেষ প্রতিনিধি।