কিছুদিন আগের কথা, আপনজন, প্রিয়জন কিংবা পরিচিতজনের একটি চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় এক সময় অনেকেরই যাতায়াত ছিল পোস্ট অফিসে। চিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল এই পোস্ট অফিস। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাধে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন অনেকটাই কমেছে। তবু এখনো এই পোষ্ট অফিসে জীবন বীমা, সঞ্চয়পত্রে টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরী কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব অপরিহার্য। এসব কারণে এখনো অনেক গ্রাহক প্রতিদিন উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের পোষ্ট অফিসগুলোতে আসেন তাদের কাঙ্খিত সেবা পেতে। অথচ এই পোষ্ট অফিসগুলো বর্তমানে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। তেমনি একটি জরাজীর্ণ বেহাল দশার পোষ্ট অফিস নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলা পোস্ট অফিসটি।

মঙ্গরবার সকালে রাণীনগর উপজেলা পোস্ট অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অফিসের সামনের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে পরছে। অফিসটির প্রধান গেটটি ও নড়বড়ে। অফিসের ভিতরের এবং বাহিরের সমস্ত ছাদের পলেষ্টার খুলে পরেছে এবং ছাদ নির্মানের যে রডগুলো ব্যবহার করা হয়েছে পলেষ্টার খুলে পরে সেগুলো সব দেখা যাচ্ছে এবং বাড়ান্দায় বৃষ্টির পানি পরে রডগুলোতে জাং ধরেছে।

উপজেলা পোস্ট অফিসটি সংস্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ভবনটির গায়ে শ্যাওলা পড়ে গেছে। অফিসের ভিতরে গিয়ে ভবনটির জীর্ণদশা দেখলে যে কেউ আতকে উঠবে। ছাদের অধিকাংশ স্থানে পলেস্তরা নেই বললেই চলে। ভিতর থেকে ছাদের দিকে তাকালে মরিচা ধরা লোহার রডগুলো চোখে পড়বে। বৃষ্টির সময়ে ভবনটির বিভিন্ন স্থানজুরে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ছে। এর ভিতর ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে অফিসিয়াল কাজ-কর্ম চালাচ্ছে এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যেকোনো মুহুর্তে ভবনটি ধসে ঘটতে পারে প্রাণহানিসহ বড় কোনো দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা পোস্ট মাস্টার জালাল উদ্দিন সরদার বলেন, অনেক দিন ধরে উপজেলা পোস্ট অফিসটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর এর মধ্যেও আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছি। পোস্ট অফিসটি সংস্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভবনটির সংস্কারের জন্য পোস্ট অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানালেও এখন পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।