সকল সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়ে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে। তবে দেশের সকল পর্যটনকেন্দ্র, সব ধরনের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অর্থাৎ জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) উপসচিব মো. রেজাউল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধ আগের ধারাবাহিকতায় ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সকল সরকারি-বেসরকারি, আধা সরকারি ও শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদনকেন্দ্রে বন্ধ থাকবে। জনসমাগম হয় এ ধরনের সামাজিক ( বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। খাবারের দোকানগুলো সকাল ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। অর্ধেক আসন খালি রেখে ক্রেতাদের বসাতে পারবে।

কোভিড-১৯ এর উচ্চ ঝুঁকি জেলাগুলোতে জেলা প্রসাশকেরা বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সঙ্গে বসে সংক্রমণ রোধে নিজ নিজ এলাকায় বিধিনিষেধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গনপরিবহন চলাচল করতে পারবে এবং বাধ্যতামূলক যাত্রী ও বাস সংশ্লিষ্টদের মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ৭ দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। পরে তা আরো ২ দিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। পরে তা আরো ৭ দফা বাড়ানো হয়। এবার একসঙ্গে এক মাস বাড়ানো হলো বিধিনিষেধ।