পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া সেই দুই আওয়ামী লীগ নেতার দুটি শটগানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার দুই অস্ত্রের মালিককে জেলা পুলিশের মাধ্যমে এ–সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। আজ বেলা ৩টার দিকে জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, গণপূর্ত ভবনে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া লাইসেন্সধারী দুই ব্যক্তি অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। জেলা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনে অস্ত্র দুটির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই লাইসেন্স দুটি বাতিল করা হলো।

অস্ত্র হাতে মহড়া দেওয়া ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন পাবনার পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু। ১৩ জুন পুলিশের নির্দেশে তাঁরা ব্যবহৃত দুটি শটগান থানায় জমা দেন। এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের কিছু শর্ত রয়েছে। গণপূর্ত ভবনে মহড়া দেওয়া ব্যক্তিরা সেই শর্ত অমান্য করেছেন। এ ঘটনায় গণপূর্ত বিভাগ কোনো অভিযোগ না দিলেও জেলা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছে। তদন্তে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় লাইসেন্স দুটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছিল।

৬ জুন দুপুরে লোকজন নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের পাবনা কার্যালয়ে প্রবেশ করেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন। তাঁর পেছনে শটগান হাতে মহড়া দেন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু। পরবর্তী সময়ে ভবনে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার ঝড় ওঠে। কিছু ঠিকাদার অভিযোগ করেন, ঠিকাদারি কাজের সুবিধা পেতেই আওয়ামী লীগ নেতারা এই মহড়া দিয়েছেন। অপরদিকে সাধারন ঠিকাদার ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া এসব নেতাদের অর্থ সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।