মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার প্রধান আসামি ইয়াকুব আলীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপর দুজন হলো ওসমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ আলম। তারা বাকলিয়া থানাধীন বলিরহাট এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকলিয়া থানার একটি টিম গত বৃহস্পতিবার ঢাকার পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক।

এ কর্মকর্তা আরও জানান, গত ১১ জুন নগরীর বাকলিয়া কালামিয়া বাজার আবদুল লতিফকে হাটখোলা রোডে বড় মৌলভী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে বিনামূল্যে কবর দেওয়া হয়। উল্লিখিত স্থানে সাইনবোর্ড লাগাতে যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরা। তখন এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত ইয়াকুব ও তার সহযোগীরা হামলা করে। এতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ১৩ জন আহত হন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন ৪ জন। এ ঘটনায় ১৬ জুন গুলিবর্ষণকারী মো. জাহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়।

বিজয় বসাক আরও জানান, কবরস্থানে সাইনবোর্ড টাঙানো নিয়ে সংঘর্ষের মূল হোতা ইয়াকুবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমীন বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে অস্ত্র ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) শাহ মো. আবদুর রউফ, অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।