লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত আঙ্গরপোতা-দহগ্রামে রোটারী ক্লাবের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন ওই এলাকার খলিলুর রহমান, সোহরাফ ও হানিফ মিয়া নামে ৩ ব্যক্তি। ওই জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। আহতরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম বাজারের এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।

ওই এলাকার আমির হোসেনের পুত্র খলিলুর রহমান জানান, তাদের ভোগ দখলীয় জমিতে পার্শ্ববর্তী জুলফিকার আলী ভুট্টু ও দুলাল হোসেনসহ তাদের লোকজন বৃহস্পতিবার জোরপুর্বক দখলের চেষ্টা করেন। রোটারী ক্লাবের নামে ওই জমি দখল করা হচ্ছে। এতে তারা বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তার ভাগ্নি জামাতা সুজন, মামাত ভাই আবুল হোসেন, রফিকুল, হাফেজার, আব্দুর রহিম ও আব্দুর রসিদসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।

ওই এলাকার সোহরাফ ও হানিফ মিয়া জানান, ঢাকার ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তি রোটারী ক্লাবের নাম বলিয়ে নিজের নামে জমি ক্রয় করেন। পরে রোটারী ক্লাবের নামে পাশে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করেন। এতে বাঁধা দিলে আমাদের উপর হামলা করা হয়। রোটারী ক্লাবের নামে বলে তারা যেটুকু জমি ক্রয় করা হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি জমি দখল করে নিয়েছেন।

তবে দুলাল হোসেনের দাবী, ওই জমির মালিক তারা নয়। জমির মালিক হলেন ঢাকা রোটারী ক্লাবের সদস্য ইয়াসিন নামে এক ব্যক্তি। জমিগুলো লালমনিরহাট রোটারী ক্লাবের ডাইরেক্টর হাবিবুর রহমান হাবিব দেখভাল করেন। ওই জমি খলিলুর রহমান ও তাদের লোকজন দখলের চেষ্টা করেন। এতে বাঁধা দিলে আমাদের উপর হামলা করা হয়। আমাদের ৪/৫ জন আহত হয়েছে।

লালমনিরহাট রোটারী ক্লাবের ডাইরেক্টর হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, রোটারী ক্লাব ওই জমি গুলো ক্রয় করে ১০টি ভুমিহীন পরিবারের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। রোটারী ক্লাব কারো জমি দখল করে নাই। বরং রোটারী ক্লাবের জমি দখল করেছেন খলিলুর রহমান গংরা।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, দহগ্রামে জমি নিয়ে সংর্ঘষের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ হয়েছে। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।