জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ অধিবেশন শেষ হলো। মহামারিকালের দ্বিতীয় এই বাজেট অধিবেশন শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে শেষ হয়। এর আগে গত ২ জুন অধিবেশন শুরু হয়েছিল। গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন। যা গত ৩০ জুন পাস হয়।

পরে ২ দিন আলোচনা করে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাস হয়। সপ্তাহখানেক বিরতি দিয়ে টানা ৪ দিন ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা চলে। এরপর আরও ১০ দিন বিরতি দিয়ে ২ দিন বাজেটের ওপর আলোচনা হয়। সব মিলিয়ে ৮৫ জন সংসদ সদস্য এবার বাজেটের উপর আলোচনা করেন। সম্পূরক বাজেটসহ বাজেটের ওপর ৬ দিনে ১৫ ঘণ্টা ৩২ মিনিট আলোচনা হয়েছে।

এর আগে গত বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত বাজেট অধিবেশন হয়েছিল। ৯ দিনের ওই বাজেট অধিবেশনে ১৮ জন সংসদ সদস্য ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট আলোচনা করেছিলেন। অধিবেশন জুড়েই সংসদ সদস্যরা বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা করেন। বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারি দলের বেশ কয়েক জন সংসদ সদস্য স্বাস্থ্য সেবা, সরকারের আমলা নির্ভরতার সমালোচনা করেন।

করোনাভাইরাস মহামারি মধ্যে অনুষ্ঠিত অন্য অধিবেশনগুলোর মত এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদ চলে। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকা সংসদ সদস্যরাই অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। প্রতিদিন ১০০-১২০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে বসে সংসদ।

মহামারিকালের অন্য অধিবেশনগুলোর মত এবার সংসদ ভবনে প্রবেশাধিকার ছিল না গণমাধ্যমকর্মীদের।

শনিবার (৩ জুলাই) রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনানোর মধ্য দিয়ে অধিবেশনের সমাপ্তি টানেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে সংসদ কক্ষে দেখানো হয়, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলায় দেওয়া ভাষণ।