অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক। শুক্রবার (০৯ জুলাই) আদালতের অনুমতিক্রমে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

আরিফ সাদেক বলেন, গত নভেম্বরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালি কম লিমিটেডের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কাটিংসহ একটি অভিযোগের সত্যতা যাচাই/অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। এসব অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের মানিলন্ডারিং অনুবিভাগের দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো অভিযোগের বিষয়বস্তু ছিল ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকদের পণ্য দেওয়ার নামে অগ্রীম অর্থ আদায় করছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে পণ্য ডেলিভারি দেয় না। এমনকি গ্রাহক যে মানের পণ্যের অর্ডার দিয়েছে তা পাচ্ছেন না। আরও বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তদন্তে নেমেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালি কম লিমিটেডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের আলোকে আরও একটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ জুলাই অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

প্রাপ্ত অভিযোগে, চলতি বছরের ১৪ মার্চ ইভ্যালি’র চলতি সম্পদ প্রায় ৬৫.১৮ কোটি টাকা এবং মার্কেট দায় প্রায় ৪০৭.১৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রীম হিসেবে গৃহীত দায় প্রায় ২১৪ কোটি টাকা এবং ইভ্যালির মার্চেন্টদের কাছে দায় প্রায় ১৯০ কোটি টাকা।

ফলে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ৪০৪ কোটি টাকার চলতি সম্পদ থাকার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির কাছে চলতি সম্পদ রয়েছে মাত্র ৬৫.১৮ কোটি টাকা। যা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি তার চলতি দায়ের বিপরীতে মাত্র ১৬.১৪% গ্রাহককে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে। তারপর গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছ থেকে গৃহীত প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।