নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ’র সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ জনে দাঁড়িয়েছে। লাশগুলো উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীষ বর্মণ জানান, ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। ঘটনার পর হাসপাতালে পাঠানো আহতদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।

দেবাশীষ বর্মণ আরও জানান, রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ’র সেজান জুস কারখানা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধারকাজ শুরু হবে। তালাবদ্ধ থাকায় চতুর্থ তলার কোনো শ্রমিক বের হতে পারেননি। যে কারণে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয় বলে জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক।

আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভবনের সপ্তম তলায় আগুনের কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এর আগে দুপুরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, ‘চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৪৯ জনের মৃতদেহ পাঠিয়েছি। আমরা চতুর্থ তলা পর্যন্ত যেতে পেরেছি। উপরের দুই ফ্লোরে এখনও আগুন জ্বলছে। আমাদের কাজ শেষ হয়নি। চূড়ান্ত সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ নুসরাত বলেন, ‘অনেক লাশ শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। সেগুলো ঢাকা মেডিকেলের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বলা হবে।’ এদিকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস, কোমল পানীয় ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় আগুন লাগে। এরপর গতকাল রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানায় স্থানীয় প্রশাসন।