লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে রাজধানীতে প্রবেশের তিন পথ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটের দেখা দিয়েছে। এই তিন সড়কে প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকা কোরবানির পশুবাহী পরিবহন ও যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে হাঁসফাঁস করছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরের দিকে বাইপাইল ও আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় এমন যানজটের চিত্র দেখা গেছে। জানা গেছে, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিও কলোনি এলাকা হতে গেন্ডা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী থেকে বাইপাইল পর্যন্ত নবীনগরগামী লেনে ৫ কিলোমিটার যানজট পরেছে। এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আশুলিয়ার বারইপাড়া থেকে বাইপাইল বাস যোগে আসছিলেন আব্দুর রহিম। জিরানী পার হয়েই তিনি যানজটে পড়েন। এরপর একঘন্টা যাবত সে এই যানজটের আটকে আছেন। আব্দুর রহিম বলেন, আজ গণপরিবহন চলছে। বাসে উঠে বাইপাইল যাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু বাসে উঠার একটুপরেই দেখি বিশাল যানজট। সেখানে বারইপাড়া থেকে আমার বাইপাইল যেতে আগে লাগতো ২০ মিনিট এখন তো দেড় ঘন্টা যাবত বসে আছি ইপিজেডই পার করতে পারিনি।

টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে গরু বোঝাই ট্রাক নিয়ে গাবতলির একটি হাটে যাবেন এখলাস। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই যানজটে আটকে আছেন। এতে তিনি ও তার গরুগুলো গরমে হাঁসফাঁস করছে। এখলাস বলেন, সকালে গুরু নিয়ার রওনা দিছি সব জায়গায় ভালোই আসলাম কোথাও গাড়ি দাঁড়ালো না কিন্তু জিরানী পার হওয়ার সাথে সাথেই জ্যামে পরে গেছি৷ দের ঘণ্টা ধরে বসে আছি এখনো বাইপাইল পার করতে পারি নাই৷ শুধু জ্যাম হলে তাও সাথে অনেক রোদ গরমের জন্য গরুগুলোর মুখদিয়ে লালা বের হইতাছে। আল্লাহ ভালো জানে কি হবে কোনো গরু জেনো স্ট্রোক না করে।

এ বিষয়ে সাভার ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম বলেন, ঢাকায় গরুর গাড়ি ঢুকছে সেই দুইদিন আগে থেকেই এখন আরও চাপ বেরেছে৷ তবে আজ থেকে গণপরিবহন চলাচলের কারণে চাপটা আরেকটু বেড়েছে। আমাদের ট্রাফিক সদস্যরা সব সময় সড়কে রয়েছে যানজট নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।