পবিত্র কোরানখানি, কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে সোমবার গাজীপুরে নুহাশপল্লীতে নন্দিত প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রাণঘাতি করোনায় সময়ে এবার নুহাশপল্লীতে মৃত্যু বার্ষিকীর অনুষ্ঠান ছিল সল্পপরিসরে এবং লোক সমাগম ছিল অন্যান্য বারের বছরের তুলনায় কম।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল, হিমু পরিবহন ও হুমায়ূন ভক্তদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাত পরিচালনা করেন নুহাশ পল্লী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. মুজিবুর রহমান। এ সময় লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে মোনাজাত করা হয়। এর আগে সকাল থেকে আশপাশের মসজিদের কয়েকজন মাওলানা নূহাশ পল্লীতে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম করেন। সকাল থেকেই হিমু পরিবহন সদস্যরা ও হুমায়ূন ভক্তরা গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের নুহাশপল্লীতে আসেন। তবে এবার লোক সমাগম ছিল কম।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের কারণে নুহাশপল্লীতে এবার সংক্ষিপ্ত আকারে স্যারের (হুমায়ূন আহমেদের) মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। প্রতি বছর মৃত্যুবার্ষিকীতে আশপাশের ৫/৬শ এতিম শিশুদের খাওয়ানো হত এম যা খরচ হত সেই অর্থ এবার গরীব- দু:স্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন মেডামের নুহাশ পল্লীতে আসার কথা ছিল। সকালে তিনি নূহাশ পল্লীর উদ্যেশ্যে ঢাকার বাসা থেকে রওনা হয়েছিলেন। কিন্ত যানজটের কারণে তিনি আসতে পারেন নি।

উল্লেখ্য, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৪ বছর বয়সে আমেরিকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন লেখক হুমায়ূন আহমেদ। পরে ২৪ জুলাই গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে তাঁর নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ দাফন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি।