ক্রিকেট বিশ্বের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর ভিন্ন রকমের হয়। নিরাপত্তা ইস্যু থেকে শুরু করে নানা রকমের শর্ত জুড়ে দিয়ে সফর চূড়ান্ত করে তারা। তবে এবার আরও কিছু ভিন্ন শর্ত দিয়েই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় এসেছে অজিরা। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিমানবন্দরের ভেতরকার ঝামেলা এড়ানো, পুরো হোটেল বুকিং, বাড়তি আইসিইউর ব্যবস্থাসহ তাদের বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। যার কারণে তাদের সঙ্গে ম্যাচ চলাকালীন বাড়তি নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে স্টেডিয়ামের চারপাশ।

অজিদের সঙ্গে পুরো সিরিজ আয়োজিত হবে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। করোনার কারণে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ। এরপর ৫ তারিখ থেকে বিধিনিষেধ সরে গেলেও মাঠের চারপাশে গণপরিবহন কিংবা জনসাধারণের চলাচলেও থাকবে সীমাবদ্ধতা। কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে সাজানো হচ্ছে স্টেডিয়ামের চারপাশ।

বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাংলাদেশ সফরে আসে। বছরের মাঝামাঝি সময়ে আসে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। দুই দলের শর্তের চেয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার শর্ত ভিন্ন। তাদের চাহিদাও অন্যদের তুলনায় বেশি। ম্যাচ চলাকালীন মাঠের ভেতরের বায়ো-বাবলে থাকতে পারবেন না বিসিরি কর্মকর্তারাও। নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্য দিয়ে থাকতে হবে সবার। সিরিজের থাকছে না দর্শক প্রবেশের অনুমতিও। ফলে গ্যালারিতেও কারোর প্রবেশের অনুমতি নেই।

পুরো সিরিজের নিরাপত্তার বিষয়ে মিরপুর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে বলেন, ‘তিন স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুরো সিরিজে কাজ করবে পুলিশ। ক্রিকেটারদের হোটেল থেকে মাঠে আসা এবং মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পথে থাকবে জিরো ট্রাফিক। স্টেডিয়ামের ভেরতে প্রবেশে থাকবে সীমাবদ্ধতা। মাঠের চারপাশে পোশাক, সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘চলমান কঠোর বিধিনিষেধের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে কঠোর তো থাকবেই। তবে ৫ আগস্টের পর বিধিনিষেধ যদি উঠেও যায় তাহলেও খেলা চলাকালীন স্টেডিয়ামের সামনে পথ দিয়ে গণপরিবহন ও জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হবে।’