মোবাইল ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও ডিজিটাল সেবা প্রদানে বৈশ্বিক ইন্টারনেট প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শেয়ারইট গ্রুপ বাংলাদেশের মানুষের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দেশের বাজারে এর ব্যবসা জোরদার করতে যাচ্ছে।
২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৭৭ লাখ (+১৯ শতাংশ)। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার এবং দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবৃদ্ধি (ইন্টারনেট পেনিট্রেশন) ছিলো ছিল ২৮.৮ শতাংশ। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩.৩ কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনসংখ্যার ২০ শতাংশকে অনলাইনের সাথে যুক্ত করেছে।

দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় ইন্টারনেট চ্যানেল এবং রিসোর্স বৃদ্ধি ধীরগতিতে ঘটছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষিতে, দেশে দ্রুতগতির এবং নির্ভরযোগ্য একটি ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশন অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই, ডিজিটাল কন্টেন্ট সবার কাছে সমানভাবে পৌঁছে দেয়ার চিন্তা থেকে শেয়ারইট বাংলাদেশের বাজারে এর কার্যক্রম জোরদারের পরিকল্পনা করেছে। বর্তমানে, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ইত্যাদি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে শেয়ারইট গ্রুপের কার্যালয় রয়েছে, এবং উদীয়মান বাজার ও বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর জন্য এর পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে শেয়ারইট বাংলাদেশেও এর কার্যক্রম জোরদারের পরিকল্পনা করছে।

শেয়ারইট গ্রুপের প্রধান পণ্য শেয়ারইট অ্যাপ অনলাইন স্ট্রিমিং ভিডিও, ফাইল ট্রান্সফার সুবিধা, গেমিং, বিনোদন এবং পার্সোনালাইজড ডিজিটাল কন্টেন্টের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের নানা সুযোগ প্রদান করে থাকে। এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য-পূর্ব, আফ্রিকা এবং রাশিয়ান ভাষাভাষী দেশগুলোতে ‘ন্যাশনালি ফেভারড অ্যাপ’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

শেয়ারইট গ্রুপ, প্রধান অ্যাপ শেয়ারইট সহ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের এক বৈচিত্র্যময় স্যুট তৈরি করেছে, যা বিশ্বের প্রায় ২৪০ কোটি ব্যবহারকারী ইন্সটল করেছেন। এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর কথা বিবেচনা করে শেয়ারইট গ্রুপ দেশের ডিজিটাল বিনোদন, ব্র্যান্ড মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন সমাধান সংক্রান্ত চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে দেশে এর ব্যবসা শক্তিশালী করার পরিকল্পনা তৈরি করেছে। শেয়ারইট গ্রুপ ১৫০টিরও বেশি দেশের ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে গেছে এবং অ্যাপটি ভিন্ন ভিন্ন ৪৫টি ভাষায় পাওয়া যাচ্ছে। গত বছরের প্রথম অর্ধবছরের অ্যাপসফ্লায়ার পারফর্মেন্স ইনডেক্স অনুসারে, শেয়ারইটকে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল মিডিয়া পাবলিশার হিসেবে নামকরণ করা হয়। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যের দ্রুত বর্ধনশীল মিডিয়া পাবলিশারদের মাঝে শীর্ষস্থান দখল করে। গত বছরের শেষ অর্ধবছরের অ্যাপসফ্লায়ার পারফর্মেন্স ইনডেক্স অনুসারে, শেয়ারইট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের দ্রুত বর্ধনশীল মিডিয়া পাবলিশারদের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে।

শেয়ারইটের পার্টনার ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট করম মালহোত্রা বলেন, “একটি সাধারণ ফাইল ট্রান্সফার অ্যাপ হিসেবে যাত্রা শুরু থেকে বর্তমানে শেয়ারইট ব্র্যান্ড মার্কেটিং, ডিজিটাল অ্যাডভার্টাইজিং ও বিনোদন সংশ্লিষ্ট সমাধান ইত্যাদি বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিজেকে সম্প্রসারিত করেছে। গত কয়েক বছরে এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মার্কেটিং ও বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আমাদের অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এখন যেহেতু বাংলাদেশে আমাদের অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন, আমরা স্থানীয় এবং বৈশ্বিক অ্যাপগুলোর অংশীদার হতে এই দেশে আমাদের ব্যবসাকে শক্তিশালী করতে চাই ও আমাদের ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করতে চাই।”

ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের একটি বিকল্প চ্যানেল হিসেবে, বাংলাদেশে শেয়ারইট গ্রুপের যাত্রার সূচনা ব্যবহারকারীদের বিভিন্নভাবে উপকৃত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উচ্চমানের ডিজিটাল সেবা ছাড়াও, শেয়ারইট গ্রুপ এর সক্ষমতা ও বিশ্বের অগণিত ব্যবহারকারীদের ওপর ভিত্তি করে স্থানীয় ব্র্যান্ড ও মার্কেটারদের জন্য কাস্টমাইজড এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি বিজ্ঞাপন এবং ব্র্যান্ডিং সম্পর্কিত সমাধান প্রদান করবে।