গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন ও ল্যাবে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে। ফলে এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষার কাজ আপাততঃ বন্ধ রয়েছে। পিসিআর মেশিন ও যন্ত্রাংশসহ ল্যাবটি সম্পূর্ণ জীবানু মুক্ত করে আগামী শুক্রবার থেকে এখানে ফের করোনা পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এ কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল কাদের।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল কাদের বলেন, করোনার স্যাম্পল সংগ্রহ করে আরএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সংগৃহীত স্যাম্পলটি করোনা পজেটিভ বা নেগেটিভ তা এ ল্যাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শনাক্ত করা হয়। গত রবিবার বিকেলে করোনা পরীক্ষার জন্য ১২৩টি নমুনা এ হাসপাতালে ল্যাবের পিসিআর মেশিনে দেয়া হয়। এসব নমুনা পরীক্ষার পর ১১৫টি পজেটিভ ও ৮টি নেগেটিভ ফল আসে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শতকরা প্রায় ৯৩ দশমিক ৫০ ভাগ পজেটিভ হওয়ায় সন্দেহ দেখা দেয়। পরদিন সোমবার আরো নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ পজেটিভ হয়। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে গড়ে শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ করোনা পজেটিভ হচ্ছে। এতে সন্দেহ আরো ঘনীভুত হয়। এছাড়া পিসিআর টিউবে যেখানে ভাইরাসের উপস্থিতি একেবারেই থাকার কথা নয়, সেখানেও ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ায় বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়। পিসিআর মেশিনসহসহ পুরো ল্যাব কন্টামিনেশন (সংক্রমিত) হওয়ায় করোনা নেগেটিভ নমুনাও ফলাফলে পজেটিভ আসছে। এ ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবধান হওয়ায় সোমবার থেকেই এ ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার কাজ আপাততঃ বন্ধ রাখা হয়। তবে সংগৃহীত সকল স্যাম্পল পুনঃপরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাই। আশা করছি বৃহস্পতিবারের মধ্যে পিসিআর মেশিনসহ যন্ত্রাংশ এবং ল্যাবটি সম্পূর্ণ জীবানু মুক্ত (ডি-কন্টামিনেশন) করে শুক্রবার থেকে এ ল্যাবে ফের নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করা যাবে। তবে করোনা পরীক্ষার জন্য আগের মতোই নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, গাজীপুরে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার জন্য গড়ে ৫শ’ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে ১৮৮টি এ হাসপাতালের ল্যাবে ৩১২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ল্যাব ও ঢাকায় পাঠানো হয়।