মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল কর্ম প্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধুকে তিনি ছায়ার মতো আগলে রাখতেন। সাহস, ধৈর্য্য, কষ্ট সহিষ্ণুতায় তিনি সর্বদাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে রবিবার প্রধান অতিথি ও মূল আলোচক হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ এম.পি. একথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদানের জন্য নিজ বাড়ি থেকে যাবার আগে বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন ‘তুমি যা বিশ্বাস করো, বক্তৃতায় তাই বলবে’। এমন কি বঙ্গবন্ধু যখন রাষ্ট্রপতি হলেন, তখন বঙ্গমাতা বলেছিলেন, ‘আমি ৩২ নম্বরের বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাব না’। এক সহজ সরল সাদামাটা বিশ্বাসের মধ্যেই এভাবেই তিনি সমগ্র জীবন কাটিয়েছেন। বঙ্গমাতা জানতেন বঙ্গবন্ধু কী চান, সে আদর্শেই নিজের জীবনকে উজ্জীবিত করতেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা পিতার মতই হৃদয়বান, পরিবার ও তাঁর মাতার কাছ থেকে এ শিক্ষা পেয়েছেন।

সভাপতির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জীবন ও আদর্শ ছিল শেখ মুজিবের জীবনাদর্শ বাস্তবায়নের পথরেখা। বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে, তখন বেগম মুজিব তাঁর কাছে আসা সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনার কথা বলতেন। এই মহীয়সী সৃষ্টিময়ী ও মানবিক মানুষটি জাতির পিতার সহধর্মিণী ও তাঁর রাজনৈতিক সহচর হিসেবে বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে যে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে গেছেন তাঁর সেই অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়ণ করা আমাদের কর্তব্য।

শোকাবহ আগস্ট মাসে মুজিব জন্মশতবর্ষে বাউবিতে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এ জুম ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নাসিম বানু (প্রশাসন), প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন (শিক্ষা), ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল।

প্যানেলিস্টে ছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মহাঃ শফিকুল আলম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মেহেরীন মুনজারীন রতœা, ডিনস্ কাউন্সিলের প্রতিনিধি অধ্যাপক সুফিয়া বেগম, ডিরেক্টরস কাউন্সিলের সদস্য-সচিব এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক মোঃ হিমায়েত মিয়া ও তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোঃ আবুল কাসেম শিখদার। জুম ওয়েবিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ সংযুক্ত ছিলেন।