লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ডিএনএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব ও অফিস সহকারী রমজান আলীর বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।

খবর পেয়ে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ১টি গাছ উদ্ধার করলেও উদ্ধার হয়নি আরও ৪টি গাছ। যার বাজার মুল্য ৪০-৫০ হাজার টাকা হবে বলে জানা গেছে। এনিয়ে ঐ এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে দেশের সব স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় গোতামারী ডিএনএসসি উচ্চ বিদ্যালয় অফিস সহকারী রমজান আলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব স্কুলের বিভিন্ন গাছ কেটে গোপনে বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। এমনি ভাবে গত শনিবার ও রবিবার স্কুলের বড় বড় ৫টি গাছ কেটে বিক্রি করেন তারা বিক্রি করেন। যা জানেনা স্কুল পরিচালনা কমিটির কেহ। এদিকে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশের সকল স্কুল খুলে দেয়া হয়। ঐদিন স্কুলে এসে এ দৃশ্য দেখে অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা বিষয়টি স্থানীয় গোতামারী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নগরায়ন চন্দ্রকে অবগত করলে তিনি গ্রাম পুলিশের সহযোগিতা স্থানীয় রেজাউল করিমের স-মেইল হতে একটি নিম গাছের কয়েকটি টুকরো উদ্ধার করেন পরিষদে রাখেন। বাকি গাছ গুলো উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঐ স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারী বিষয়টি গ্রুত্ব দিয়ে দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিউল আমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

স্কুলের গাছ কেটে বিক্রি করার বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল ওয়াহাব (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) প্রথমে স্কুল পরিচালনা কমিটির অনুমতি ও রেজুলেশন মোতাবেক গাছ কাটা দাবী করেন। তবে কমিটির অন্যান্য সকলের সাথে কথা হয়েছে বললে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে কোন রেজুলেশন করা হয়নি, ভুল করেছি এমনটা আর হবেনা।

এবিষয়ে ঔ স্কুলের অফিস সহকারী রমজান আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে ঐ স্কুল কমিটির অবিভাবক সদস্য ফরিদ ও শিক্ষক প্রতিনিধি মজিবর রহমানের সাথে কথা হলে তারা উভয়ে এবিষয়ে কিছু জানেননা এবং কোন রেজুলেশন পেপারে সাক্ষর করেননি বলে জানান।

গোতামারী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নারায়ণ চন্দ্র বলেন, গোতামারী ডিএনএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাব ও অফিস সহকারী রমজান আলী কাউকে না জানিয়ে ৫টি গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার সত্যতা পেয়েছি। গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে একটি গাছ উদ্ধার করা হলেও এখনও ৪টি গাছ উদ্ধার করা যায়নি।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোতামারী ডিএনএসসি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামিউল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গাছ কাটার বিষয় তিনি অবগত নয়। তবে বিষয়টি তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।