কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে আরো এক অজ্ঞাতনামা যুবকের (৩৫) মরদেহ। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সমুদ্রসৈকতের নাজিরারটেক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ ভেসে এসেছে। তাদের মধ্যে দুজন পর্যটক ও একজন স্থানীয়। ঠিক কখন তারা গোসলে নেমেছিলেন, তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। নিহতদের মধ্যে শহরের কলাতলীর চন্দ্রিমা এলাকার আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ ইমন (১৭) ও যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকার আসাদুজ্জামানের ছেলে নাফিক ঐশিক (২৫) পরিচয় মিললেও পরে আজ উদ্ধার হওয়া যুবকের পরিচয় এখনো মেলেনি।

বিচকর্মীরা জানান, গেল শুক্রবার (১৭ সেপ্টম্বর) দুপুর ও বিকেলে সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে দুই যুবকের মরদেহ ভেসে আসে। তাদের একজন স্থানীয় ও একজন পর্যটক, যিনি যশোর থেকে এসেছেন। তার সঙ্গী একজন নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার ভেসে আসা লাশ নিখোঁজ যুবকের হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মুরাদ ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বিচকর্মীরা সেখানে গেছেন। তারা মরদেহ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। গতকাল একজনের মরদেহ পাওয়ার পর তারা জানান যে তাদের আরেকজন নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে হয়তো তার মরদেহ ভেসে এসেছে।

এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে তৌনিক মকবুল (২৩) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তৌনিক ঢাকার শ্যামলীর আদাবর এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।