সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে মাতৃভাষা বাংলায় ঐতিহাসিক বক্তব্য প্রদান করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক অনন্য ও মহত্তর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। মানব জাতির কল্যাণে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলে জাতিসংঘকে কাজ করার তাগিদ দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বশান্তি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ আমাদের গর্ব ও ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে থাকবে চিরদিন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯ তম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর প্রথম বাংলা ভাষায় বক্তব্য প্রদান উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে গাজীপুরস্থ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)-এর উপাচার্য ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু এমনই একজন মানুষ ছিলেন যিনি বাঙালি, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অধিকারকে বিশ্বসভায় সু-প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে বিশ্বজনীন করার ক্ষেত্রে বিস্ময়কর নজির স্থাপন করেছেন। প্রিয় মাতৃভাষার প্রতি তাঁর এই প্রগাঢ় ভালোবাসার ফলেই ১৯৫২-এ সংঘটিত মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ দিবস ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ রূপে উদযাপিত হচ্ছে। এর ভিত্তি স্থাপনটি হয়েছিল মূলতঃ মানব জাতির সর্বোচ্চ ফোরাম জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক মাতৃভাষা বাংলায় ভাষণ প্রদানের মধ্য দিয়ে। এই ভাষণটি ছিল বিশ্বের অধিকার বঞ্চিত, নির্যাতিত এবং নিষ্পেষিত মানুষের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ব শান্তির জন্য বলিষ্ঠ উচ্চারণ ও সাহসী পদক্ষেপ।

এছাড়া তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও আদর্শকে উপজীব্য করে মাতৃভাষায় বিজ্ঞান ও প্রকৌশল চর্চা এবং গবেষণাকে আরো প্রাধান্য দেওয়ার আহবান জানান।