“প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে উপজেলা পরিষদের করণীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকেলে পাবনা মিডিয়া সেন্টারে প্রতীক মহিলা ও শিশু সংস্থা’র আয়োজনে এবং অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও কমনওয়েল্থ ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মোশারোফ হোসেন, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা ফারজানা তাজ, জেনিফারস্ কিচেনের সত্ত্বাধিকারী জেনিফার নাররিন ডলি, ঝাল মিষ্টির সত্ত্বাধিকারী জেসরিন সুমি, পাকের ঘরের সত্ত্বাধিকারী জিনিয়া শারমিন রুলি ও উদ্যোক্তা নীলিমা ইয়াসমিন। প্রতীক মহিলা ও শিশু সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক এসএম সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ও উন্নয়ন কর্মি কামাল সিদ্দিকী’র সঞ্চালনায় সভার প্রধান অতিথি উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মোশারোফ হোসেন বলেন, সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় তাদের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা ভাতা, বিভিন্ন প্রকারের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আমরাও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তাদের উন্নয়ন অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। পাবনা সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে যেসব সেবা রয়েছে তা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদেরকে প্রদান করার আশ্বাস দেন তিনি। বিশেষ অতিথি জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা ফারজানা তাজ বলেন, সরকার প্রতিবন্ধী ব্যািক্তদের উন্নয়নে সহায়ক নানা কর্মসূচি গ্রহন করেছে। তবে আমাদের নির্দিষ্ট নীতি মেনে চলতে হয়, তাই প্রতিবন্ধী ভাই-বোনেরা যেসব সমস্যার কথা বললেন, সেসব বিষয় আমরা সমাধান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসহ যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করে সমাধানের চেষ্টা করবো। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন হিমাইতপুর স্ব-সহায়ক দলের সভাপতি সায়মা ইসলাম কথা। তিনি পাবনার সদর উপজেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কিছু দাবি তুলে ধরেন; যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, স্ব-সহায়ক দলের সদস্যদের প্রশিক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত প্রদান, দারিদ্র বিমোচন কার্যক্রমের আওতায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে দল গঠন করে আত্ম-নির্ভরশীল করা, যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার শর্ত শিথিল করা, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করা, একটি বাড়ী একটি খামার, পল্লী উন্নয়ন দল, আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য গঠিত দলসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক দল গঠনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্ন্তভূক্ত করা, ঢালু সিঁড়ি সঠিক মাপে করা, একীভূত শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে বাক-শ্রবণ, বুদ্ধি ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা ইত্যাদী। সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের স্ব-সহায়ক দলের সদস্য, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবিসহ বিভিন্ন পেশাজীবিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।