জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয়ে (বাউবি) লোক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাউবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মেজবাহ উদ্দিন তুহিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরস্থ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বুধবার সকালে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর নয়াচীন সফর থেকে শেখা : অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দরকার জনগনের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক লোক বক্তৃতা প্রদান করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তার লোক বক্তৃতা প্রদান করেন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, বিশ্ব শান্তি সম্মেলনের একটি অনুষ্ঠানে যোগদিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে বিপ্লবোত্তর চীন সফর করেন। বঙ্গবন্ধু সফরের সময় বিপ্লবোত্তর কালে চীনের জনগনের ক্ষমতায়ন প্রশ্নে অগ্রগতি ও তার ফলাফল পর্যবেক্ষন করতে চেয়ে ছিলেন।‘‘আমার দেখা নয়া চীন” বইটি বঙ্গবন্ধুর শিল্পিত মন ও পর্যবেক্ষনের এক অসামান্য দলিল। চীনের সমাজ ও অর্থনীতির রূপান্তর তাঁর মনে একটা দাগ কেটেছিল যা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত মূলনীতি ও পরিকল্পত উন্নয়ন কৌশলে এসবের প্রভাব বেশ দৃশ্যমান। নয়াচীনের অনেক সংস্কারই তার মনে গেঁথে গিয়েছিল। স্বাধীনতার পর সুযোগ পেয়ে তিনি সেসবের বেশ কিছু রূপায়নের উদ্যোগ নিয়েছলেন। তিনি আরও বলেন জনগনের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে যারা ভাবেন তাদের সকলেই বঙ্গবন্ধুর এই বইটিকে উন্নয়ন ভাবনার জগতে একটি মূল্যবান সংযোজন হিসেবে দেখবেন বলে আমি আশা করি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাউবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তালার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আর এই সোনার বাংলা গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা রয়েছে।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাউবি’র প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নাসিম বানু, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং মুক্তযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন ও ট্রেজারার অধ্যাপক মোস্তফা আজাদ কামাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাউবি’র মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন। শুরুতে লোক বক্তৃতার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান, সকল স্তরের শিক্ষক ,আঞ্চলিক পরিচালকসহ সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।