বাংলাদেশ উš§ুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) “ইনক্লুসিভ এডুকেশন ফর ওপেন স্কুলিং” শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নানা কারণে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের পড়াশুনার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাউবি’র ওপেন স্কুল এ কর্মশালার আয়োজন করে। মঙ্গলবার বাউবি’র পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মেজবাহ উদ্দিন তুহিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, কানাডাস্থ প্রতিষ্ঠান কমনওয়েলথ অব লার্নিং এর কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা এ কর্মশালা বিশ^বিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ভারতের ইনষ্টিটিউট অব ন্যাশনাল ওপেন স্কুলিং (এনআইওএস) বিশেষজ্ঞ সেবা প্রদান করে। এনআইওএস-এর বিশেষজ্ঞ আনসুল খারবান্দা ও ড. সুকান্ত কুমার মহাপাত্র কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে ভারতের ইনক্লুসিভ এডুকেশনের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করেন এবং বাউবি’র জন্য সুপারিশমালা তুলে ধরেন। বাউবি’র ওপেন স্কুল সদস্য ড. মিজানুর রহমান গবেষণার ভিত্তিতে ওপেন স্কুলের জন্য একটি ইনক্লুসিভ এডুকেশন পলিসি প্রণয়ন করে কর্মশিবিরে তা উপস্থাপন করেন। অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে এই পলিসির উপর অংশগ্রহণকারীদের ফিডব্যাক নেয়া হয়। বাউবি’র ওপেন স্কুলের ৩৪জন শিক্ষক এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাউবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন “ওপেন স্কুলের পলিসিতে প্রতিবন্ধী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের পড়াশুনার সুযোগ দানে তাঁদের সহায়ক সেবা প্রদানের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে হবে। যদিও এটির বাস্তবায়ন খুব চ্যালেঞ্জিং। তবে ওপেন স্কুলিং ব্যবস্থা ইনক্লুসিভ এডুকেশন বাস্তবায়নের একটি সহায়ক পদ্ধতি।”

প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, “ইনক্লুসিভ এডুকেশন এখন বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বাধ্যতামূলক। তাই ওপেন স্কুলের পলিসিতে ইনক্লুসিভ এডুকেশনের মূলনীতি এবং চ্যালেঞ্জগুলো সংযোজন করা প্রয়োজন।”
উদ্বোধনী বক্তৃতায় ওপেন স্কুল ডিন অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন পলিসিতে সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবস্থা সংযোজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এ কর্মশিবির আয়োজনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীগণ ভারত ও বাংলাদেশে ইনক্লুসিভ এডুকেশনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেনেছেন এবং ওপেন স্কুলের জন্য একটি বাস্তব ভিত্তিক পলিসি প্রণয়নের জন্য মতামত দিয়েছেন।