অর্থ ও বানিজ্য প্রতিবেদক :
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ভোজ্য তেল, গরুর মাংস ও মুরগির দাম বেড়েছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পরপরই মাংসসহ ভোজ্যতেলের দাম কমে যাবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজার, হাজী ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, সায়েদাবাদ বাজার, কারওয়ান বাজার এবং মিরপুর এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, আর গোল বেগুন ১২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বরবটি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকা, মটরশুঁটি কেজি ১২০ টাকা। এছাড়া চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আহম্মেদ রুমি বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ ভাল, কিন্তু ক্রেতাদের চাহিদা কম থাকায় দাম কমেছে।
এছাড়া বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। তবে আলুর দামে কোনো হেরফের নেই। আলু আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি।   পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।
বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা, আর চায়না আদার দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
এদিকে আবারো ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। আর দুই লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া সাদা প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।
বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। লাল ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা।
তবে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। শুক্রবার গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের মাংস বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, এখন অনেক বেশি দাম দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। এ কারণেই বেশি দামে বিক্রি করছি গরুর মাংস। আমরা কম দামে গরু কিনতে পারলে, মাংসও কম দামে বিক্রি করি।
একই সঙ্গে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা ৭ দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৭০ টাকায়। বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। বর্তমানে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। যা গত শুক্রবার বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।
মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের মুরগী বিক্রেতা সাব্বির হোসেন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খামারিরা মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব তো রয়েছেই। ঈদের পরে কমে যাবে মুরগির দাম।